35 JYOTINDRA NATH MURMU INTERRELATION WITH GEOGRAPHY.pptx

KALNA COLLEGE
AFFILIATED TO
THE UNIVERSITY OF BURDWAN
COURSE-V: UNDERSTANDING DISCIPLINE AND SUBJECTS
NAME- JYOTINDRA NATH MURMU
ROLL NO- 61
SEMESTER- I
SESSION – 2024-26

INTERNAL ASSESSMENT TOPIC :
INTERRELATION AND INTERDEPENDENCE AMONGST VARIOUS SCHOOL
SUBJECTS WITH GEOGRAPHY.

বিদ্যালয়ের পাঠ্যবিষয় সমূহ:-
• ইতিহাস
• গণিত
• পদার্থবিজ্ঞান
• জীববিজ্ঞান
• অর্থনীতি

ভূগোলের সঙ্গে ইতিহাসের আন্তঃসম্পর্ক ও আন্তঃনির্ভরতা
১. ভূগোল এবং সভ্যতার বিকাশ
ভূগোল বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ, জলবায়ু এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সভ্যতার বিকাশে প্রভাব
ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, মেসোপটেমিয়া, সিন্ধু উপত্যকা, এবং মিসরের সভ্যতা নদী উপত্যকায় গড়ে উঠেছিল, যেখানে
সেচ ব্যবস্থা সহজ ছিল এবং কৃষিকাজের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ উপযোগী ছিল। এর ফলে এই সভ্যতাগুলো দ্রুত
উন্নতি লাভ করে।
২. বাণিজ্য এবং যোগাযোগ
ভূগোলের কারণে বাণিজ্যিক যোগাযোগ, সংস্কৃতির আদান-প্রদান এবং যুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সমুদ্রপথ, নদী
পথ, এবং স্থলপথের উপর ভিত্তি করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এবং ইতিহাসের অনেক বড় ঘটনা যেমন
যুদ্ধ, প্রজাতির বিস্তার, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, রোমান সাম্রাজ্যের প্রসার
প্রাকৃতিক ভূগোলের সুবিধা এবং সড়ক ব্যবস্থা এবং সমুদ্রপথের উপর নির্ভর করেছিল।
৩. প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং ইতিহাস
ভূগোল এবং ইতিহাসের মধ্যে এক ধরনের সমন্বয় দেখা যায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে। ভূমিকম্প, সুনামি,
বন্যা, মেঘাচ্ছন্ন মরুভূমির বিস্তার, বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ এক অঞ্চলের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং
সাংস্কৃতিক ইতিহাস পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। যেমন, গ্রেট চীনের ভি র্স রাজ্য নদী উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে
ৎ
নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছিল এবং তা তাদের ইতিহাসের এক বড় অংশ হয়ে দাঁড়ায়।

ভূগোলের সঙ্গে গণিতের আন্তঃসম্পর্ক ও আন্তঃনির্ভরতা
১. মানচিত্র এবং স্থান নির্ধারণ
মানচিত্র তৈরির ক্ষেত্রে গণিত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্থান নির্ধারণ, স্থানাঙ্ক, স্কেল, অক্ষাংশ এবং
দ্রাঘিমাংশ সবই গণিতের অংশ। ভূগোলের অবস্থান নির্ধারণে পিথাগোরাসের ত্রিভুজ, থিওরেম, সমান্তরাল এবং
প্রতিসম রেখার গণনা ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক স্থানগুলি সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যায়।
২. মৌলিক গণিতের প্রয়োগ
গণিতের মৌলিক কৌশলগুলো যেমন যোগ, বিয়োগ, গুণ এবং ভাগ, ভূমির আয়তন, পরিসীমা, উচ্চতা এবং বিভিন্ন ভূ-
তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, একক পরিসীমার উপর গণনা বা কোনো অঞ্চলের
আয়তন বের করতে মৌলিক গাণিতিক অপারেশন ব্যবহার করা হয়।
৩. পৃথিবী এবং মহাকাশের মাপ
পৃথিবী এবং মহাকাশের সম্পর্ক জানতে গণিতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর আকৃতি, আয়তন, ব্যাস,
গোলাকারতার প্রমাণ, এর গতিপথ এবং পৃথিবী থেকে অন্যান্য গ্রহ, নক্ষত্র ও স্যাটেলাইটের দূরত্ব নির্ধারণে
গণিতের সাহায্য নেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, পৃথিবীর ব্যাসার্ধ, মহাকাশের বস্তুগুলির কক্ষপথের গণনা ইত্যাদি
সবই গণিতের সঠিক ব্যবহারে নির্ধারণ করা হয়।

ভূগোলের সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞান আন্তঃসম্পর্ক ও আন্তঃনির্ভরতা
১. ভূ-তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া এবং শক্তি
ভূগোলের অনেক দিক সরাসরি পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্বের সাথে সম্পর্কিত। পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ শক্তি
যেমন ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, টেকট ো
নিক প্লে টের গতিবিধি বুঝতে পদ া
র্থ বিজ্ঞ া
নের বিভিন্ন বিষয় যেমন শক্তি ,
তাপ, চাপ এবং গতি ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভূমিকম্পের কারণে ভূ-গঠন এবং উপকূলীয় এলাকা পরিবর্তন
হয়, যা পদার্থবিজ্ঞানের আইনগুলোর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
২. পৃথিবীর আক্রমণ শক্তি ও তাপমাত্রা
পৃথিবী তাপমাত্রা ও শক্তির গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হয় পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্বের মাধ্যমে। পৃথিবীর উপর
সূর্য থেকে আসা তাপ শক্তি কীভাবে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং পৃথিবীর আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পরিবর্তন হয় তা
পদার্থবিজ্ঞান দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, গ্রিনহাউস এফেক্ট, বায়ু চলাচল এবং
—
জলবায়ু পরিবর্তন এগুলো সবই পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্বের উপর নির্ভরশীল।
৩. ভূমিকম্প এবং তরঙ্গ
ভূমিকম ্পে
র উ পত ্তি
এবং তার তরঙ ্গে
র গতিবিধি সম ্প
র ্কে
ও পদার্থ
বিজ ্ঞা
ন গু রু ত্ব
পূর্ণ
। ভূমিকম ্পে
র শক ্তি
এবং তরঙ ্গে
র
ৎ
তীব্র
তা বোঝার জ ন্ য
পদার্থ
বিজ ্ঞা
নের তরঙ্গ
তত্ত
্ব
ব্ য
বহার করা হয়। ভূগোলবিদরা ভূমিকম ্পে
র প্র
ভাব ও ফলাফল
বিশ ্লে
ষণ করতে পদার্থ
বিজ ্ঞা
নের তত্ত
্ব
গু লো ব্ য
বহার করেন।

ভূগোলের সঙ্গে জীববিজ্ঞান আন্তঃসম্পর্ক ও আন্তঃনির্ভরতা
১. পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র
জীববিজ্ঞানে বাস্তুতন্ত্র হল এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী, উদ্ভিদ এবং অনুজীব একে
অপরের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে। ভূগোল পরিবেশ, জলবায়ু, স্থান এবং ভূ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে
বাস্তুতন্ত্রের বৈচিত্র্য বুঝতে সাহায্য করে। যেমন, বনভূমি, মরুভূমি, পাহাড়, —
সাগর এসব বিভিন্ন পরিবেশে
বাস্তুতন্ত্র ভিন্নভাবে কাজ করে এবং জীববিজ্ঞানী তা বিশ্লেষণ করেন।
২. পৃথিবীর ভূমি এবং জীববৈচিত্র্য
পৃথিবীর ভূমির বৈচিত্র্য (যেমন পর্বত, উপত্যকা, নদী, সমুদ্র, বন) জীববৈচিত্র্যকে প্রভাবিত করে। ভূগোলের
মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জলবায়ু বুঝে প্রাণী এবং
উদ্ভিদের বৈচিত্র্য বিশ্লেষণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, একাধিক প্রজাতির প্রাণী শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পর্বত বা
উপত্যকায় বসবাস করে, কারণ তাদের পরিবেশ বিশেষ ধরনের ভূমি এবং জলবায়ুতে অভিযোজিত।
৩. আধুনিক প্রযুক্তি এবং জীববিজ্ঞান
ভূগোল ও জীববিজ্ঞানের আন্তঃসম্পর্ক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারেও দৃশ্যমান। উদাহরণস্বরূপ, জিওগ্রাফিক
ইনফরমেশন সিস্টেম (GIS) ব্যবহার করে ভূগোলবিদেরা পরিবেশ এবং প্রাণীজগতের ডেটা বিশ্লেষণ করেন, যা
জীববিজ্ঞানীদের জীববৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কিত গবেষণায় সহায়তা করে।

ভূগোলের সঙ্গে অর্থনীতির আন্তঃসম্পর্ক ও আন্তঃনির্ভরতা
১. প্রাকৃতিক সম্পদ এবং অর্থনীতি
ভূগোল প্রাকৃতিক সম্পদের অবস্থান এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়, যা অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ, কৃষিজাত পণ্য ইত্যাদির অবস্থান এবং প্রাপ্যতা সরাসরি
অর্থনৈতিক উন্নতি এবং উ পাদন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। ভূগোলের মাধ্যমে উ পাদন কেন্দ্র
ৎ ৎ , খনন ক্ষেত্র
এবং কৃষিভিত্তিক অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মৌলিক অবকাঠামো সৃষ্টি করে।
২. বিশ্বায়ন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক
ভূগোল এবং অর্থনীতি বিশ্বায়নের যুগে বিশেষভাবে পরস্পর সম্পর্কিত। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে
অর্থনৈতিক সম্পর্ক, যেমন রপ্তানি, আমদানি, শ্রমবাজার, এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর, ভূগোলের মাধ্যমে নির্ধারিত
হয়। কোনো অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক অবস্থান বিশ্ব বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য প্রভাবিত হতে পারে।
৩. জনসংখ্যা এবং শ্রমশক্তি
ভূগোল এবং অর্থনীতি জনসংখ্যার অবস্থান এবং শ্রমশক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। জনসংখ্যার ঘনত্ব, দক্ষতা, এবং
বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নয়ন স্তর উ পাদন ও শ্রমবাজারের উপর প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ
ৎ , একটি ঘনবসতিপূর্ণ
শহরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি হতে পারে, কারণ সেখানে কর্মক্ষম জনগণের
সংখ্যা বেশি। জনসংখ্যার স্থানীয়ত্ব এবং শ্রমশক্তির বন্টন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করে।

উপসংহার
• পরিশেষে বলা যায় যে, ভূগোলের সাথে বিভিন্ন বিজ্ঞান ও সামাজিক
বিজ্ঞান বিষয়গুলো একে অপরের সাথে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে এবং
এরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। তারা একে অপরকে ব্যাখ্যা ও
সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে, এবং একে অপরের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করে
উন্নতি সাধন করে।

35 JYOTINDRA NATH MURMU INTERRELATION WITH GEOGRAPHY.pptx

More Related Content

Similar to 35 JYOTINDRA NATH MURMU INTERRELATION WITH GEOGRAPHY.pptx (20)

More from Dr Aniket Sutradhar (Kalna College) (20)

35 JYOTINDRA NATH MURMU INTERRELATION WITH GEOGRAPHY.pptx